তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ’ এখন উন্নয়নের রোল মডেল
জাতির জনক ছিলেন রাজনীতির কবি। মাত্র ১৮ মিনিটে তার মুখ নিঃসৃত বাণী জাগিয়েছিল দেশকে। মঞ্চে উচ্চারিত রাজনীতির কবির প্রতিটি নির্দেশ জাতির মুক্তির জন্য ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১৮ মিনিটের অলিখিত ভাষণ দিয়েছিলেন। সেই ভাষণ থেকেই মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার অনন্ত প্রেরণা পায় দেশবাসী।
তখন থেকেই স্বাধীনতার সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রামের মন্ত্র উদ্বেলিত করেছিল জনগণকে। একাত্তরের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়েছিল। আজ শনিবার, ২৬ মার্চ, ৫২তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল লাল সবুজের বাংলাদেশের।
তলাবিহীন ঝুড়ি’র দেশ হিসেবে যারা অতীতে আখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল তারাও এখন থ বনে গেছে। দারিদ্র্য ও দুর্যোগ জয় করে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণের দিকে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ছাড়াও নারীর ক্ষমতায়নসহ আর্থসামাজিক প্রতিটি সূচকে এগিয়েছে বাংলাদেশ। নানা অর্জনে ভরা ঝুড়ি নিয়ে এ বছর জাতি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে।
১৯৭১ সালে সদ্য স্বাধীন দেশে মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার বার্ষিক বাজেট ছিল। আজ তা পরিণত হয়েছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকায়। ১২৯ ডলার থেকে মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৫৯১ ডলার হয়েছে। মাথাপিছু আয়, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখে আজ বাংলাদেশকে নিয়ে বিশ্ববাসীও গর্ব করে। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ও দেশজ উৎপাদন, বৈদেশিক বাণিজ্য বৃদ্ধি, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও ব্যবহার এবং সম্পদ উৎপাদন ও আহরণ বেড়েছে।
এ দিনে আমি পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি- স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অতর্কিতে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ চালালে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।